,

হবিগঞ্জ বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন ॥ আটক ১

জুয়েল চৌধুরী ॥ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ভাটি শৈলজুড়া গ্রামে বন্ধুর হাতে বন্ধু খুনের ঘটনায় আটক ঘাতক আব্দুল কাদির উজ্জল পুলিশের নিকট প্রাথমিকভাবে ঘটনার স্বীকার করেছে। এদিকে সাজিদুর রহমানের পুত্র নিহত সজিবের মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে তার পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় মামলার পস্তুতি চলছে। গতকাল বৃহস্পতিবার আটক উজ্জলকে আদালতে প্রেরণ করা হবে। জানা যায়, ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া উপজেলার বড়ইকান্দি গ্রামের সজিব কিছুদিন আগে ভাটি শৈলজুরা গ্রামে এক আত্মিয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান সজিব মিয়া। এ সময় ওই গ্রামের মানিক মিয়ার মেয়েকে তার পছন্দ হয়। এক পর্যায়ে পরিবারের মাধ্যমে মানিক মিয়ার কাছে বিয়ের প্রস্তাব পাঠান। বিয়েতে মানিক মিয়া ও তার পরিবারের লোকজন রাজি হলেও রাজি হননি তার বড় মেয়ের জামাই উজ্জ্বল। গত মঙ্গলবার বিকেলে সজিব আবারও শৈলজুরা গ্রামে বৌ-ভাতে বেড়াতে যান। এ সময় উজ্জ্বল মিয়ার সাথে তার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে উজ্জ্বল মিয়া ছুরি দিয়ে সজিব মিয়ার পেটে ও বুকে আঘাত করেন। স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ জেলা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তড়িগড়ি করে পুলিশকে না জানিয়ে লাশ বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে গোপনে দাফনের চেষ্টা করা হয়। বিষয়টি এক সাংবাদিক সদর থানাকে অবগত করলে ওসির নির্দেশে ওসি (তদন্ত) দৌস মোহাম্মদ ও এসআই উৎসব কর্মকার ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেন। সেই সাথে নিহত সজিবের পরিবারকে খবর দেয়া হয়। এসময় উজ্জলকে আটক করলে ঘটনার কথা স্বীকার করে। উজ্জ্বল লাখাই উপজেলার তেঘরিয়া গ্রামের ফারুক মিয়ার ছেলে। ওসি আরও জানান, ঘটনার সাথে আর কেউ জড়িত কিনা তদন্ত চলছে। তবে আটক উজ্জল ঘটনার কথা স্বীকার করেছে।


     এই বিভাগের আরো খবর